ঢাকা | বঙ্গাব্দ

শেরপুরে আওয়ামী লীগ সমর্থিত ৪ ইউপি চেয়ারম্যান পলাতক থাকায় প্রশাসক নিয়োগ

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার চারটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের নামে রাজনৈতিক মামলা থাকার কারণে চার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দীর্ঘদিন যাবত তাদের কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। ফলে ওইসব ইউনিয়ন পরিষদের সেবাগ্রহীতা জনসাধারণের মাঝে স্বাভাবিক সেবা প্রদান বিঘ্নিত হচ্ছিল। তাই কাঙ্ক্ষিত সেবা প্রদান নিশ্চিত করার লক্ষে ওই চার ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
  • আপলোড তারিখঃ 08-08-2025 ইং |
  • নিউজটি দেখেছেনঃ 43995 জন
শেরপুরে আওয়ামী লীগ সমর্থিত ৪ ইউপি চেয়ারম্যান পলাতক থাকায় প্রশাসক নিয়োগ ছবির ক্যাপশন: ফাইল ছবি
ad728

শেরপুরে আওয়ামী লীগ সমর্থিত ৪ ইউপি চেয়ারম্যান পলাতক থাকায় প্রশাসক নিয়োগ


শেরপুর প্রতিনিধি :

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার চারটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের নামে রাজনৈতিক মামলা থাকার কারণে চার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দীর্ঘদিন যাবত তাদের কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। ফলে ওইসব ইউনিয়ন পরিষদের সেবাগ্রহীতা জনসাধারণের মাঝে স্বাভাবিক সেবা প্রদান বিঘ্নিত হচ্ছিল। তাই কাঙ্ক্ষিত সেবা প্রদান নিশ্চিত করার লক্ষে ওই চার ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছে সরকার। 


প্রশাসক নিয়োগকৃত ইউনিয়ন পরিষদগুলো হলো- উপজেলার ২নং নন্নী ইউনিয়ন, ৫নং রামচন্দ্রকুড়া মন্ডলিয়াপাড়া ইউনিয়ন, ১০নং যোগানিয়া ইউনিয়ন ও ১১নং বাঘবেড় ইউনিয়ন। 


বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে বুধবার (৬ আগস্ট) জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এসব ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগ করা হয়।


নিয়োগপ্রাপ্ত প্রশাসকগণ হলেন- নন্নী ইউনিয়নে ভেটেরিনারি সার্জন সাকিব হোসেন সাগর, রামচন্দ্রকুড়া মন্ডলিয়াপাড়া ইউনিয়নে ক্ষুদ্র কৃষক উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের উপজেলা ব্যবস্থাপক মুহাম্মদ সোলায়মান, যোগানিয়া ইউনিয়নে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মওদুদ আহমেদ এবং বাঘবেড় ইউনিয়নে উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আনোয়ারুল কবির।


শেরপুর জেলা প্রশাসকের স্থানীয় সরকার শাখা কর্তৃক জারীকৃত ওই অফিস আদেশে বলা হয়, দীর্ঘদিন যাবত নন্নী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসেন চৌধুরী, রামচন্দ্রকুড়া মন্ডলিয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম খোকা, যোগানিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ ও বাঘবেড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সবুর তাদের কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। যে কারণে এলাকার জনসাধারণ তাদের কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না। এমতাবস্থায় প্যানেল চেয়ারম্যানদের দিয়ে দায়িত্ব পালনে জটিলতা পরিলক্ষিত হয়। ফলে দাপ্তরিক ও নাগরিক সেবামূলক কাজের চরম ব্যাঘাত ঘটছিল। এরই প্রেক্ষিতে উপজেলার চারটি ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছে সরকার। 


উল্লেখ্য, গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হয়। সরকার পতনের আন্দোলনে শিক্ষার্থী হত্যা মামলার আসামি হওয়ায় উল্লিখিত চারজন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আত্মগোপনে চলে যান।


নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ ADMIN

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
notebook

পানছড়িতে সেনাবাহিনী ও ইউপিডিএফ (মূল) এর মধ্যে গুলিবিনিময়, অত্যাধুনিক অস্ত্র উদ্ধার।