কুলিয়ারচর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি:
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার রামদী ইউনিয়নের বড়চর মোহাম্মদ আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গত ৩ সেপ্টেম্বর ঘটে যাওয়া সহকারী শিক্ষিকা মিতালি চক্রবর্তীকে মারধরের ঘটনায় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সোমবার রামদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ এনামুল হককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবদুল আলিম রানা বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মজিব আলমের স্বাক্ষরিত চিঠি আমাদের কাছে পৌঁছেছে। শিক্ষিকাকে মারধরের অভিযোগ যথাযথভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।”
জানা যায়, ৩ সেপ্টেম্বর স্কুল চলাকালীন সময়ে রামদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ এনামুল হক নিজ স্কুল থেকে বড়চর মোহাম্মদ আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে ঐ স্কুলের সহকারী শিক্ষিকার কক্ষে অপ্রত্যাশিতভাবে প্রবেশ করে তাকে শারীরিকভাবে আক্রমণ চালান। এসময় শিক্ষক এনামুল হকের স্ত্রী উপস্থিত ছিলেন, এনামুল হকের স্ত্রীর নাম বিলকিস আক্তার সোমা তিনিও মোহাম্মদ আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা।
ঘটনার পর ভুক্তভোগী শিক্ষিকা মিতালি চক্রবর্তী কুলিয়ারচর থানায় এনামুল হক ও তার স্ত্রী বিলকিস আক্তারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলার নং-০৩, তারিখ-০৩/০৯/২০২৫।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এনামুল হক ও মিতালী চক্রবর্তীর বাড়ি একই এলাকায় এবং তাদের জমি সংক্রান্ত বিরোধ ছিল।
মামলার পর আদালত এনামুল হক ও তার স্ত্রীকে জামিন দিয়েছিলেন। তবে বিভাগীয় অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত সাপেক্ষে শিক্ষককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আরও জানিয়েছেন, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত বরখাস্তের সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে এবং প্রয়োজন হলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।