ঢাকা | বঙ্গাব্দ

ফিলিস্তিনিদেরকে তাদের ভূমি থেকে সরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা কারো নেই: এরদোয়ান

কোনো শক্তিই ফিলিস্তিনিদের তাদের জোর করে মাতৃভূমি থেকে তাড়িয়ে দিতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।
  • আপলোড তারিখঃ 10-02-2025 ইং |
  • নিউজটি দেখেছেনঃ 130171 জন
ফিলিস্তিনিদেরকে তাদের ভূমি থেকে সরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা কারো নেই: এরদোয়ান ছবির ক্যাপশন: ছবি :- অনলাইন
ad728

গতকাল রোববার (৯ফেব্রুয়ারি) মালয়েশিয়া যাওয়ার আগে ইস্তাম্বুলে সাংবাদিকদের মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের স্থানান্তর প্রস্তাবের তীব্র নিন্দা করে তিনি এসব কথা বলেন।

এরদোয়ান বলেন, ‘গাজা হাজার হাজার বছর ধরে সেখানকার বিদ্যমান অধীবাসীদের চিরন্তন মাতৃভূমি। সেখান থেকে তাদের সরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা কারো নেই। গাজা, পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেমসহ পূর্ণ ফিলিস্তিন ফিলিস্তিনিদেরই থাকবে। সূত্র - আনাদোলু এজেন্সির।

স্থানান্তরের প্রস্তাবের প্রসঙ্গ টেনে তিনি আরও বলেন, ইহুদিবাদী সরকারের চাপে গাজা নিয়ে মার্কিন প্রশাসনের প্রস্তাবগুলো আলোচনার উপযুক্ত নয়।

ব্রিফকালে যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রতিশ্রুতি পূরণ করায় হামাসের প্রশংসা করেন এরদোয়ান। ইসরায়েলিরা যুদ্ধবিরতি বাতিলের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে এবং বন্দিবিনিময় প্রক্রিয়াকে দুর্বল করার জন্য সব চেষ্টা করছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজা উপত্যকা করায়ত্ব করার এবং সেখানে বসবাসকারী সব মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার বিতর্কিত অবিবেচ্য প্রস্তাব দেন। তার পরিকল্পনার ঘোষণায় বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় বইছে। 

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ ট্রাম্পের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছেন। বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, গাজা উপত্যকা থেকে ফিলিস্তিনিদের স্থানান্তরের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাব ‘সতর্কতা’ সহকারে শোনার যোগ্য। অপরদিকে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেছেন, তিনি গাজার বাসিন্দাদের উপত্যকা থেকে স্বেচ্ছায় প্রস্থানের অনুমতি দেওয়ার একটি পরিকল্পনা তৈরি করতে সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন।

কাটজ এক বিবৃতিতে বলেছেন, আমি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাহসী পরিকল্পনাকে স্বাগত জানাই, যা গাজার জনসংখ্যার একটি বৃহৎ অংশকে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে স্থানান্তরিত করার পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে। বিবৃতিতে কাটজ আরও বলেন, ইসরায়েলি পরিকল্পনা অনুসারে গাজার বাসিন্দারা যে কোনো দেশে যেতে পারে। যে দেশ তাদের গ্রহণ করতে ইচ্ছুক সেখানে স্থলপথে বা সমুদ্র ও আকাশপথে প্রস্থানের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হবে। ২০২৩ সালের অক্টোবরে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজার অধিকাংশ ফিলিস্তিনিরা উপত্যকা ছেড়ে যেতে পারেনি; সীমিত পর্যায়ে চিকিৎসার জন্য স্থানান্তরের কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া।

স্পেন, আয়ারল্যান্ড ও নরওয়ের কথা উল্লেখ করে কাটজ বলেন, যারা গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ পরিচালনার সমালোচনা করেছে এবং ট্রাম্পের প্রস্তাবের সঙ্গে সহযোগিতা করতে রাজি হওয়ার সম্ভাবনা কম, ফিলিস্তিনিরা সেসব জায়গায় যেতে পারে।


নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ নিউজ ডেস্ক

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
notebook

নবীনগরে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ৫ শহীদের সমাধিতে শ্রদ্ধা