হুমায়ন কবির মিরাজ, বেনাপোল:
শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে প্রতিবেশী দেশ ভারতে ইলিশ রপ্তানি অব্যাহত রয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে দ্বিতীয় চালানে ১৮ দশমিক ৭৯ মেট্রিক টন ইলিশ পশ্চিমবঙ্গের পেট্রাপোল বন্দরে প্রবেশ করেছে।
এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে প্রথম চালানে ৩৭ দশমিক ৪৬ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি হয়। ফলে মাত্র দুই দিনে এই বন্দরের মাধ্যমে মোট ৫৬ দশমিক ২৫ মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে গেল।
বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক মোঃ শামীম হোসেন জানান, সরকার কর্তৃক অনুমোদিত ১ হাজার ২০০ মেট্রিক টনের মধ্যে এখন পর্যন্ত এই পথ দিয়ে ৫৬ দশমিক ২৫ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি সম্পন্ন হয়েছে।
বেনাপোল মৎস্য কোয়ারেন্টাইন অফিসার সজীব সাহা বলেন, প্রতিটি চালান আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে পাঠানো হচ্ছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী আগামী ৫ অক্টোবরের মধ্যে পুরো রপ্তানি কার্যক্রম শেষ করতে হবে। প্রতি কেজি ইলিশের রপ্তানি মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ দশমিক ৫ মার্কিন ডলার।
বন্দর সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রপ্তানি হওয়া চালানে ইলিশ পাঠিয়েছে—মেসার্স সততা ফিশ ৩.৮ মেট্রিক টন, প্যাসিফিক সি ফুড ১.৬৩ মেট্রিক টন, এমভি সি ফুড ৪ মেট্রিক টন, তানিশা এন্টারপ্রাইজ ১.৩৬ মেট্রিক টন, এমএপি ইন্টারন্যাশনাল ৩ মেট্রিক টন এবং জেএস এন্টারপ্রাইজ ৫ মেট্রিক টন।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে রপ্তানি হওয়া চালানে সততা ফিশ ৩.৬ মেট্রিক টন, তানিশা এন্টারপ্রাইজ ১.৪ মেট্রিক টন, বিশ্বাস এন্টারপ্রাইজ ১২.২ মেট্রিক টন, লাকি ট্রেডিং ১৬.৮ মেট্রিক টন এবং স্বর্ণালি এন্টারপ্রাইজ ৪ মেট্রিক টন ইলিশ পাঠায়।
রপ্তানিকৃত এসব ইলিশ ভারতের কলকাতার পাঁচ প্রতিষ্ঠান—ন্যাশনাল ট্রেডিং, এফএনএস ফিশ, জয় শান্তসী, মা ইন্টারন্যাশনাল ও আর জে ইন্টারন্যাশনাল আমদানি করছে।
অন্যদিকে একইদিন দুপুরে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়েও প্রথম চালানে ১২ মেট্রিক টন ইলিশ ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় প্রবেশ করেছে। যশোরের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান মোহাতাব অ্যান্ড সন্স এ চালান রপ্তানি করে। আমদানিকারক ছিল ভারতের মেসার্স পরিতোষ বিশ্বাস।