ঢাকা | বঙ্গাব্দ

নবীনগরে গোপনে ড্রেজারে মাটি উত্তোলন ও পুকুর ভরাটের অভিযোগ; নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশ অমান্য

  • আপলোড তারিখঃ 23-09-2025 ইং |
  • নিউজটি দেখেছেনঃ 44313 জন
নবীনগরে গোপনে ড্রেজারে মাটি উত্তোলন ও পুকুর ভরাটের অভিযোগ; নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশ অমান্য ছবির ক্যাপশন: ফাইল ছবি
ad728

ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি-
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর — উপজেলার বিটঘর ইউনিয়নের টিয়ারা গ্রামে প্রভাবশালী এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে রাতের আঁধারে ড্রেজার চালিয়ে পুকুর ভরাট ও মাটি উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে; অভিযোগকারীরা বলছেন, এতে আশেপাশের বসতবাড়ি, জমি ও রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

স্থানীয় তত্ত্বাবধায়ক ও অভিযোগের সারসংক্ষেপ অনুযায়ী, মো. শাহীন মিয়া (জমির মালিক) ৩২২ খতিয়ানের ১৭১৮, ১৭১৯ ও ১৭২০ নং দাগের পুকুর অবৈধভাবে ভরাট করছেন। অভিযোগে বলা হয়—ভূমি শ্রেণি পরিবর্তন না করে পুকুর ভরাট করা হচ্ছে এবং তা বন্ধ করাতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (সহকারী কমিশনার (ভূমি)) খালিদ বিন মনসুর নির্দেশ দিলেও রাতের আঁধারে ড্রেজার চালিয়ে মাটি উত্তোলন অব্যাহত রাখা হচ্ছে।

অভিযোগকারী ইব্রাহিম মিয়া (তাহের মিয়ার ছেলে) গত ১৮ সেপ্টেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিতভাবে এই ঘটনায় অনভিপ্রেত ক্ষতির বিষয় জানিয়ে অভিযোগ দাখিল করেছেন। পরে ১৭ সেপ্টেম্বর অনুসারি কার্যক্রমে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খালিদ বিন মনসুরের নির্দেশে বিটঘর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী এস.এম. রাসেল মাহমুদ পুকুর ভরাট করেন বলে অভিযোগকারী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানতে পারে প্রশাসন।

বিটঘর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী এস.এম. রাসেল মাহমুদ জানান, গত ১৪ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টার দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে সরেজমিনে গেলে ভরাটের সত্যতা পাওয়া যায়। ভ্রাট রোধ করে কাজ বন্ধ করার চেষ্টা করলে জমির মালিক শাহীন ও ড্রেজার চালানোর সঙ্গে জড়িত শারফিন ভদ্রলোক অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। এ ঘটনার পর তারা দুজনের বিরুদ্ধে নবীনগর থানাায় সাধারণ ডায়রিও করেছেন বলে আইনি নথি করা হয়েছে।

স্থানীয় নারী বাসিন্দা মিলা বেগম বলেন, সরকারি নির্দেশ থাকলেও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন ধরে পুকুর থেকে বালু উত্তোলন এবং পুকুর ভরাট চালিয়ে যাচ্ছে—ফলে এলাকাটি ধ্বংসের মুখে পড়ছে। তিনি দ্রুত উচ্চতর কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

অভিযুক্ত শাহীন মিয়া অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমি ড্রেজার চালাই না; গত পাঁচ দিন ধরে চালানো বন্ধ আছে, রাতের বেলাও চালাই না — এসে দেখলেই বুঝতে পারবেন।’’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজীব চৌধুরী এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সহকারী কমিশনার (ভূমি)-কে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) খালিদ বিন মনসুর বলেন, তিনি ঘটনাস্থলে নানান অভিযান চালিয়েছেন; ড্রেজারের পাইপ ভাঙিয়ে কাজ বন্ধ করা হয়েছে। তবে রাতের অন্ধকারে লোকজন পাওয়া না যাওয়ায় মোবাইল কোর্ট করা সম্ভব হয়নি; তার নায়েবদের জিডি করা হয়েছে এবং দ্রুত কঠোর আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান।

স্থানীয়রা আশা করছেন—প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক তদারকি ও আইনি ব্যবস্থার মাধ্যমে অবৈধ ভরাট ও বালু উত্তোলন বন্ধ করে এলাকাটির ক্ষতি রোধ করা হবে।

(অভিযোগকারীদের নথি ও প্রশাসনের কার্যক্রম অনুসারে প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে।)


নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ নিউজ ডেস্ক

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
notebook

শার্শায় সালিশ বৈঠকে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে একই পরিবারের ১০ জন আহত