ইফরানুল হক সেতু, বাজিতপুর প্রতিনিধি, কিশোরগঞ্জ
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে হুমাইপুর থেকে পাঠুলি ঘাট পর্যন্ত খেয়া ঘাটে চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে উপজেলা বিএনপি ও এর সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনিরের বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদকে মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন মনির।
শনিবার (১১ অক্টোবর ২০২৫) দুপুরে বাজিতপুর উপজেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্য পাঠ করে বলেন, বিগত ১০ অক্টোবর কয়েকটি গণমাধ্যমে আমার ও আমার দলের বিরুদ্ধে যে চাঁদাবাজির অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমাকে ও আমার সংগঠনকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্যই এই অপপ্রচার চালানো হয়েছে।
মনিরুজ্জামান মনির আরও বলেন, আমি বিএনপির একজন কর্মী হিসেবে সর্বদা গণতন্ত্র, সত্য ও জনসেবার আদর্শে রাজনীতি করে আসছি। জীবনের কোনো পর্যায়েই এমন কোনো কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলাম না, যা সংগঠন বা সমাজের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করে। সাংবাদিকতা সত্য অনুসন্ধানের পেশা—কারো ভাবমূর্তি বিনষ্ট করার মাধ্যম নয়।
তিনি জানান, পাঠুলি গ্রামের দিঘিরপাড় ইউনিয়নে অবস্থিত ওই খেয়া ঘাটের ইজারাদার হলেন ইঞ্জিনিয়ার মো. জাহিরুল ইসলাম, যিনি সরকার থেকে ৫২ লাখ টাকায় ঘাটটি ইজারা নিয়েছেন। ঘাটের সঙ্গে আমার বা আমার দলের কোনো সম্পৃক্ততা নেই, — দাবি করেন তিনি।
মনির অভিযোগ করে বলেন, “যিনি আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন, প্রকৃতপক্ষে তিনিই ওই ১০টি নৌকার চাঁদাবাজ। তিনি প্রতিদিন প্রতিটি নৌকা থেকে দুই হাজার টাকা করে মোট বিশ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করেন। এছাড়াও অতীতে তার বিরুদ্ধে বাড়ি, জমি, নদী ও হাওরের সেচ প্রকল্প দখলের অভিযোগ রয়েছে। এজন্য এলাকাবাসীর কাছে তিনি ভূমি ও জলদস্যু হিসেবে পরিচিত।”
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমি প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি—প্রকৃত চাঁদাবাজ ও দখলদারদের মুখোশ উন্মোচন করা হোক। তারা সমাজ ও দেশের শত্রু।
এ সময় উপজেলা বিএনপি’র সিনিয়র সহসভাপতি মস্তুফা আমিনুল হক, সহসভাপতি ইন্দ্রজিত দাস, আ. করিম, মো. মহসিন মিয়া, আলে মোহাম্মদ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক জিল্লুর রহমান, হুমাইপুর ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি আব্দুর রশিদ, উপজেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মজতুবা আলী জাহাঙ্গীর, যুগ্ম আহ্বায়ক ওয়াসিমুল হক, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব কাউসার আহমেদ, শ্রমিক দলের সভাপতি আলী হাসান সবুজ ও ছাত্রদলের সদস্য সচিব ইফতেখার হায়দার ইফতিসহ বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।