ঢাকা | বঙ্গাব্দ

ঠেঙামারী বিলে কচুরিপানায় ভরাট মাঠ, বোরো চাষ নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষকরা

যশোরের শার্শা উপজেলার ঠেঙামারী বিলে এবারও দেখা দিয়েছে নতুন বিপর্যয়। বিলে ব্যাপক কচুরিপানা ও জলাবদ্ধতার কারণে হাজার হাজার বিঘা জমি পতিত থাকার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ফলে আসন্ন বোরো মৌসুমে ধান রোপণ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন স্থানীয় কৃষকরা।
  • আপলোড তারিখঃ 18-10-2025 ইং |
  • নিউজটি দেখেছেনঃ 17231 জন
ঠেঙামারী বিলে কচুরিপানায় ভরাট মাঠ, বোরো চাষ নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষকরা ছবির ক্যাপশন: সংগৃহিত
ad728



হুমায়ন কবির মিরাজ, শার্শা প্রতিনিধি:

যশোরের শার্শা উপজেলার ঠেঙামারী বিলে এবারও দেখা দিয়েছে নতুন বিপর্যয়। বিলে ব্যাপক কচুরিপানা ও জলাবদ্ধতার কারণে হাজার হাজার বিঘা জমি পতিত থাকার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ফলে আসন্ন বোরো মৌসুমে ধান রোপণ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন স্থানীয় কৃষকরা।


মাঠজুড়ে কচুরিপানায় আচ্ছন্ন ঠেঙামারী বিল। পানি ও আগাছায় জমিতে পা ফেলারও জায়গা নেই। নভেম্বরের শেষেই বীজতলা তৈরির সময়, অথচ এখনো বিলে ৫ থেকে ৭ ফুট পানি জমে রয়েছে। ইছামতি নদীর পানি এখনো প্রবেশ করছে বিলে, ফলে জমি শুকানোর সম্ভাবনা খুবই কম।


শনিবার থেকে স্থানীয় কৃষকরা নিজেদের উদ্যোগে কচুরিপানা পরিষ্কারে নেমেছেন। মেশিন এনে কেটে কেটে জমি পরিষ্কার করার চেষ্টা চলছে। কিন্তু তারা বলছেন, কাজটি যেমন কষ্টসাধ্য, তেমনি ব্যয়বহুলও।


কৃষক নায়েব আলী জানান, এক বিঘা জমির কচুরিপানা পরিষ্কার করতে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা খরচ পড়বে। তাছাড়া কচুরিপানা ফেলার জায়গা হিসেবেও প্রায় দুই কাঠা জমি নষ্ট হবে।

অন্য কৃষক আব্দুস সাত্তার বলেন, মেশিনে কাটা সহজ হলেও খরচ অনেক। তার ওপর সময়মতো পানি না নামলে সব পরিশ্রম বৃথা যাবে।


কৃষকরা জানান, এ পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে প্রয়োজন টেকসই সমাধান। তারা আশা করছেন, সরকার ঘোষিত খাল সংস্কার ও গেট নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে বিলে আবার ফসল ফলানো সম্ভব হবে।


কায়বা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান রবিউল হোসেন বলেন, দাউদখালী খালমুখে বাঁধ ও খাল সংস্কারের সরকারি পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। বাস্তবায়ন হলে এলাকাবাসীর ভোগান্তি কিছুটা কমবে।



নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ ADMIN

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
notebook

আমি দলে কোন্দল দেখতে চাইনা, যদি কারও কোন্দলে দল ভোট কম পায়, তাকে ক্ষমা করা হবেনা। বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এড. ফজলুর রহমান