হুমায়ন কবির মিরাজ, বেনাপোল:
যশোর-১ (শার্শা) আসনে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য মফিকুল হাসান তৃপ্তি। তিনি ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একই আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।
দীর্ঘদিনের বনাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী মফিকুল হাসান তৃপ্তি ছাত্রদলের রাজনীতি দিয়েই তার পথচলা শুরু করেন। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন। বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে তিনি এসএম হল শাখা ছাত্রদলের সভাপতি, পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
ছাত্ররাজনীতি থেকে মূলধারার রাজনীতিতে আসার পর তিনি কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ দপ্তর সম্পাদক, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক এবং সর্বশেষ দপ্তর সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরিশ্রম, যোগ্যতা ও সাংগঠনিক দক্ষতার মাধ্যমে তিনি দলীয় নেতৃত্বের আস্থাভাজন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হন।
১৯৯৬ সালের জাতীয় নির্বাচনে তিনি যশোর-১ (শার্শা) আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দলীয় সরকারের সময় তিনি এলাকায় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। তার উদ্যোগে শার্শায় একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সড়ক ও জনসেবা অবকাঠামো নির্মিত হয়।
রাজনীতিতে সততা, বিনয় ও জনগণের পাশে থাকা এই তিনটি গুণেই তিনি আজও সমাদৃত। জানা গেছে, ব্যক্তিগত উদ্যোগে তিনি প্রায় দুই শতাধিক বেকার যুবকের চাকরির ব্যবস্থা করেছিলেন, যা এলাকায় এক দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করে।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে তিনি বলেছেন, তারেক রহমানের নেতৃত্বে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের লড়াইয়ে শার্শার নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে থাকতে হবে। আমরা জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে লড়ব।
স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে তার মনোনয়ন প্রাপ্তিতে উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়েছে। বিএনপির একাধিক নেতা জানিয়েছেন, তৃপ্তির মতো অভিজ্ঞ, সংগঠিত ও জনপ্রিয় প্রার্থীর নেতৃত্বে শার্শায় নতুন করে জয়ের আশায় বুক বেঁধেছে দলীয় কর্মীরা।