ঢাকা | বঙ্গাব্দ

শার্শার উলাশীতে পানিবন্দি ৩০০ পরিবার, ত্রাণ সহায়তায় পাশে প্রশাসন ও রাজনৈতিক সংগঠন

যশোরের শার্শা উপজেলার উলাশী ইউনিয়নের কন্যাদাহ, রামেডাঙ্গা ও নারানতলা গ্রামের প্রায় ৩০০টি পরিবার টানা এক মাস ধরে পানিবন্দি অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন। টানা বর্ষণ ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা অতিরিক্ত পানির কারণে ঘরবাড়ি, আঙিনা ও ফসলি জমি প্লাবিত হয়ে এসব পরিবার চরম দুর্ভোগে পড়েছে।
  • আপলোড তারিখঃ 24-08-2025 ইং |
  • নিউজটি দেখেছেনঃ 26341 জন
শার্শার উলাশীতে পানিবন্দি ৩০০ পরিবার, ত্রাণ সহায়তায় পাশে প্রশাসন ও রাজনৈতিক সংগঠন ছবির ক্যাপশন: পানিবন্দিদের মাঝে ত্রাণ সহায়তা
ad728



হুমায়ন কবির মিরাজ:

যশোরের শার্শা উপজেলার উলাশী ইউনিয়নের কন্যাদাহ, রামেডাঙ্গা ও নারানতলা গ্রামের প্রায় ৩০০টি পরিবার টানা এক মাস ধরে পানিবন্দি অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন। টানা বর্ষণ ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা অতিরিক্ত পানির কারণে ঘরবাড়ি, আঙিনা ও ফসলি জমি প্লাবিত হয়ে এসব পরিবার চরম দুর্ভোগে পড়েছে।


পানিবন্দি মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় রাজনৈতিক সংগঠনগুলো। রবিবার (২৪ আগস্ট) শার্শা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত একশত পরিবারের মাঝে ৫ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়। একইদিনে উপজেলা বিএনপির শ্রমবিষয়ক সম্পাদক সহিদ আলী আশ্রয়কেন্দ্র ও গ্রামে পানিবন্দি পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করেন।


স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন পানির নিচে থাকায় শুধু পরিবারগুলোই নয়, প্রায় ৩৯ শত বিঘা জমির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। এর মধ্যে ধলহাহ মাঠে এক হাজার বিঘা, বেনেয়ালি মাঠে এক হাজার বিঘা, লাউতাড়া মাঠে সাত শত বিঘা ও কাশিয়াডাঙ্গ মাঠে পাঁচ শত বিঘার মতো জমির ফসল সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে বিপুল আর্থিক ক্ষতির শঙ্কায় পড়েছেন কৃষকরা।


এর আগে ১৩ আগস্ট বিকেলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ডা. কাজী নাজিব হাসান। এ সময় তিনি পানিবন্দি পরিবারগুলোর খোঁজখবর নেন, তাদের সমস্যার কথা শোনেন এবং ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার আহ্বান জানান।


পানিবন্দি পরিবারগুলো জানান, ঘরবাড়ি, ফসলি জমি, হাঁস-মুরগি ও গবাদিপশুর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তারা দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা ও স্থায়ী সমাধানের দাবি জানিয়েছেন। একইসঙ্গে পর্যাপ্ত ত্রাণ সহায়তা না পেলে মানবিক সংকট আরও তীব্র হবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।


উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ডাক্তার কাজী নাবিব হাসান সত‍্যতা জানানিয়ে বলেন, কন‍্যাদাহে বন‍্যার্থদের জন্য আমরা আশ্রায় কেন্দ্র ঘষোণা করেছি। সেখানে পানি বন্দি ৫০ টি পরিবার আশ্রায় কেন্দ্রে আছেন।


নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ ADMIN

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
notebook

পানছড়িতে সেনাবাহিনী ও ইউপিডিএফ (মূল) এর মধ্যে গুলিবিনিময়, অত্যাধুনিক অস্ত্র উদ্ধার।