মুহাম্মদ সুফিয়ান তাসদিক
মুসলিম
সমাজ ভ্রাতৃত্ব ও ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ। মুখে হাঁসি। হৃদয়ে ভালোবাসা।
ভাই ভাই-এর প্রতি নম্রতা। যেমনটা বলা হয়েছে পবিত্র কুরআনে; মুমিন পরস্পর
ভাই ভাই। (সূরা হুজরাত: ১০)
আল্লাহ তা’য়ালা মুমিন ভাইদের শুত্রুতা ও ঘৃণা সৃষ্টি করে এমন প্রত্যেকটি জিনিষকে হারাম করেছেন।
আল্লাহ
তা’য়ালা বলেন; নিঃসন্দেহে, শয়তান চায় তোমাদের মধ্যে মদ এবং জুয়ার মাধ্যমে
শুত্রুতা ও ঝগড়া সৃষ্টি করতে এবং আল্লাহর যিকির ও নামাজ থেকে বিরত রাখতে।
তোমরা কি এগুলো থেকে দূরে থাকবা না? (সূরা আল-মায়েদা-৯১)
মুমিনদের
মধ্যে ভালো সর্ম্পক সৃষ্টির পর আল্লাহ তা’য়ালা তাদের কে তা স্বরণ করিয়ে
দিয়ে বলেন; স্বরণ কর, আল্লহ তা’য়ালার ঐ নিয়াতের কথা, যখন তোমরা ছিলে
পরস্পরে শুত্রু। অতপর আল্লাহ তা’য়ালা সৃষ্টি করে দিয়েছেন তোমাদের অন্তরে
ভালোবাসা। এবং তাঁর দেয়া নিয়ামতের কারণে ভাই হয়েছো। (সূরা আল ইমরান: ১০৩)
অন্য আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন;
তিনিই
সেই সত্তা যিনি তোমাকে এবং মুমিনদেরকে নিজ থেকে সাহায্য করেছেন। এবং
তাদের হৃদয়ে সৃষ্টি করেছেন ভালোবাসা।পৃথিবীর সকল সম্পদও যদি তুমি নিজে
ব্যয় করতে তথাপি তাদের অন্তরে পরস্পরের প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি করতে পারতে
না। কিন্তু তাদের মধ্যে আল্লাহ তা’য়ালা ভালোবাসা সৃষ্টি করেছেন। (সূরা
আনফাল:৬৩)
ইসলাম জোর তাকিদ দিয়েছেন মুসলিম সমাজে সুসর্ম্পক বজায়
রাখার জন্য। সেই সুবাদে সুসর্ম্পক ঠিক রাখার লক্ষে প্রয়োজনীয় মিথ্যা
বলাকেও জায়েজ করেছেন। যেখানে ইসলাম মিথ্যাকে বিরাট পাপ ও নিন্দা করেছেন।
কিন্তু এখানে এসে সমাজের বৃহত্তর র্সাথ রর্ক্ষাথে খুবই সীমিত ভাবে মিথ্যার
আশ্রয় নেয়াকে জায়েজ বলেছেন।
পারস্পরিক সর্ম্পক ঠিক রাখতে আল্লাহ তা’য়ালা বলেন;
তোমরা আল্লাহকে ভয় করো। এবং পারস্পরিক সর্ম্পক ঠিক কর। (সূরা হুজরাত :১০)
রসুল
(সা.) বলেছেন; আমি কি তোমাদেরকে নামাজ, রোজ ও সদকার র্মযাদার চাইতে উত্তম
র্মযাদার কথা বলবো না? সাহাবায়ে কেরমা উত্তরে বললেন হাঁ ইয়া রাসুলাল্লাহ!
অতপর তিনি বললেন, তোমরা পারস্পরিক সর্ম্পক সংশোধন কর। পারস্পরিক সর্ম্পক
নষ্ট করা হচ্ছে সকল কল্যাণের মূলোৎপাটনকারী এবং সমস্ত মন্দের আহ্বানকারী।
(আবু দাউদ, ইবনে হিব্বান,তিরমিজী)
পারস্পরিক সর্ম্পক জোরদারের
ব্যাপারে ইসলাম উৎসাহিত করেছে। তাই হাদিসে এসেছে; হাশরের দিন আল্লাহর
আরশের ছায়া তলে ৭ ব্যক্তি স্থান পাবে। যে দিন তাঁর ছায়া ছাড়া আর কোন ছায়া
থাববে না। তন্মধ্যে একজন হলো সে, যে আল্লাহ তা’য়ালার সন্তুষ্টি লাভের
উদ্দেশ্যে নিজের দ্বীনি ভাইদের সাথে সাক্ষাত করে। (বোখারী)